দুই মদ্যপ ভারতীয়র কান্ড চেকপোস্টের গেট ভেঙে বাংলাদেশে
- আপডেট সময় : ০৩:৪৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরার ভোমরা আইসিপি থেকে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ভারতের গোজাডাঙ্গা আইসিপি ও বাংলাদেশের ভোমরা আইসিপির গেট ভেঙে মদ্যপ অবস্থায় ঢুকে পড়া দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়।
বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ ভোমরা আইসিপি দিয়ে ভারতীয় মদ্যপ চালক ও তার সহকারী একটি সাদা পিকআপ চালিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় চেকপোস্টে কর্তব্যরত নায়েক মো. জিহাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল তাদের মদ্যপ অবস্থায় পিকআপসহ আটক করে। আটক চালক ও তার সহকারী অতিরিক্ত মাদক সেবনে মাতাল অবস্থায় থাকায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পায়।
পরে তাদের সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নেশা কেটে গেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিউ টাউন থানার গৌরাঙ্গনগর গ্রামের সুরঞ্জন সরকারের ছেলে প্রকাশ সরকার (৩৯) এবং বিধু সরকারের ছেলে দিলু সরকার (২০)। এ ব্যাপারে রাতে বিজিবির ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার ও বিএসএফ গোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডারের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিজিবির ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আফজাল হোসেন বলেন, বিএসএফের নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে ভারতীয় নাগরিক পিকআপ যোগে ভোমরা স্থলবন্দরের জিরো পয়ন্টে ক্রসিং গেট ভেঙে বাংলাদেশ প্রবেশ করেন। এ সময় ভোমরা স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে ক্রসিং গেট, তিনটি রোড ডিভাইডার, বাঁশকল চেকপোস্টের গেট, একটি মোটরসাইকেল ও একটি ইজিবাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতি উত্তরে গোজাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার এসি নবীন কুমার বলেন, গাড়ি চালক অতিরিক্ত মাত্রায় মাদকদ্রব্য সেবন করে মাতাল অবস্থায় অতিরিক্ত স্পিডে গাড়ি চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে তিন থেকে চারটি ইজিবাইক ভেঙে এবং গোজাডাঙ্গা আইসিপির দুটি গেট ভেঙে ভোমরা স্থলবন্দরের দিকে আগমন করে। এ সময় বেপরোয়া গতির কারণে বিএসএফ টহল দল তাদের নিবৃত করতে ব্যর্থ হয়। এ ব্যাপারে তিনি বিজিবির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় দুই নাগরিককে থানায় হস্তান্তর ও মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।