ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

নববর্ষণের বর্ণঢ্য আয়োজন সম্পন্ন

আমিনুল হক ভূইয়া
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ২২৬ বার পড়া হয়েছে

রমনা বটমূলে ছায়ানটের চূড়ান্ত মহড়া

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রোববার পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ। নববর্ষবরণে বর্ণঢ্য আয়োজন সম্পন্ন। রমনার বটমূলে চূড়ান্ত মহড়া শেষে করেছে ছায়ানট। র‌্যাব ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা রমনার বটমূল পরিদর্শন করেন। মোতায়েন করা হয়েছে ডগ স্কোয়াড-বোম ডিজপোজেবল ইউনিট।

এদিন ভোরবেলাই সাজগোজে নিজেকে রঙিন করে ঘরের বাইরে পা রাখবে নগরবাসী। প্রতুষ্যে রমনা বটমূলে এসো এসো হে বৈশাখ এসো সঙ্গীত মুর্ছনায় স্বাগত জানাবে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে।

চারুকলায় মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণে পড়ছে শেষ তুলির টান। আপন মনে রঙ-তুলির গল্প এঁকে চলেছেন সোহানা শাহরিন, তানজুম নাহার পর্ণা, ফাইজা, সুতপা আর অর্পিতারা। তাদের তুলির আঁচরে এক একটা শিল্পকর্ম জীবন্ত হয়ে ওঠছে।

চারুকলায় শিল্পকর্মে শেষ তুলির আঁচর

তাদের হাতে একদমই সময় নেই। রাত পোহালেই বিশ্বমানবের মঙ্গল প্রার্থনায় নববর্ষের ঐতিহাসিক মঙ্গল শোভাযাত্রা পথে নামবে। তাদের পাশেই পড়ে রয়েছে চা কফির পেয়ালা। কাজে নিমগ্ন এই উদার-মনের মানুষগুলো খাওয়ার সময়টুকু ভুলে গেছেন। এতো ব্যস্ত মাঝে সবার মুখে স্মিত হাসি।

এবারে নতুন উদ্ভাবনী শিল্পকর্মও স্থান পাবে মঙ্গল শোভাযাত্রায়। বলছিলেন তানজুম নাহার পর্ণা। রাজু সরকার তিনিও চারুকলার ২৫তম ব্যচের শিক্ষার্থী। জানালেন, এবারে মঙ্গল শোভা যাত্রার উপকরণ তৈরি হচ্ছে, তাদের ব্যচের দায়িত্বে।

শিল্পকর্ম থেকে মুখ তুলে শান্ত গলায় সোহানা শাহরিন জানালেন, করোনায় তেমন বড় আকারের আয়োজন হয়নি। এবারে সেই বাধা নেই। ফলে মানুষের অংশগ্রহণটা বাড়বে।

র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন

নববর্ষের আয়োজন দেখতে প্রতিবছরই চারুকলায় নানা প্রান্ত থেকে আসা লোকজনের সমাগম ঘটে। এবারে সমাগমটা একটু বেশি। সন্তানকে সঙ্গে করে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে এসেছেন জসিম উদ্দিন। জানালেন, বৈশাখ আমাদের অহংকার। কৃষ্টি-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিকাশের অন্যতম ঠিকানা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বটমূলের মঞ্চ থেকে ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবারের নতুন বছর আবাহনের শুরু হবে। এরপর ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হবে।

দেশের অন্যতম প্রধান সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ও সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানটের আয়োজনে বর্ষবরণের সংগীতানুষ্ঠান শুরু হয়েছিলো ১৯৬৭ সালে। এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বন্ধ ছিলো। করোনা মহামারির সময় দুই বছর হয়েছে অনলাইনে। তাছাড়া আর কখনও রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন থেমে থাকেনি।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রমনা বটমূল পরিদর্শন করেন

রমনায় র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমটি যেন বাংলানববর্ষের মঞ্চ। এতো নান্দনিক উপকরণে সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কন্ট্রোল রুম সত্যিই মুগ্ধ করে।

দুপুরে রমনা বটমূলে র‌্যাবের মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেন বলেছেন, যে কোন নাশকতা মোকাবিলায় র‌্যাব প্রস্তুত। তবে নববর্ষ ঘিরে কোন রকমের নাশকতার গোয়েন্দা তথ্য নেই।

রমনা বটমূলে পরিদর্শনে আশা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছায়ানটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা জেনে কোন রকমের সমস্যা আছে কিনা। ডিএমনটি কমিশনার বলেন, নববর্ষে কোন জঙ্গী হুমকি নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নববর্ষণের বর্ণঢ্য আয়োজন সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

রোববার পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ। নববর্ষবরণে বর্ণঢ্য আয়োজন সম্পন্ন। রমনার বটমূলে চূড়ান্ত মহড়া শেষে করেছে ছায়ানট। র‌্যাব ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা রমনার বটমূল পরিদর্শন করেন। মোতায়েন করা হয়েছে ডগ স্কোয়াড-বোম ডিজপোজেবল ইউনিট।

এদিন ভোরবেলাই সাজগোজে নিজেকে রঙিন করে ঘরের বাইরে পা রাখবে নগরবাসী। প্রতুষ্যে রমনা বটমূলে এসো এসো হে বৈশাখ এসো সঙ্গীত মুর্ছনায় স্বাগত জানাবে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে।

চারুকলায় মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণে পড়ছে শেষ তুলির টান। আপন মনে রঙ-তুলির গল্প এঁকে চলেছেন সোহানা শাহরিন, তানজুম নাহার পর্ণা, ফাইজা, সুতপা আর অর্পিতারা। তাদের তুলির আঁচরে এক একটা শিল্পকর্ম জীবন্ত হয়ে ওঠছে।

চারুকলায় শিল্পকর্মে শেষ তুলির আঁচর

তাদের হাতে একদমই সময় নেই। রাত পোহালেই বিশ্বমানবের মঙ্গল প্রার্থনায় নববর্ষের ঐতিহাসিক মঙ্গল শোভাযাত্রা পথে নামবে। তাদের পাশেই পড়ে রয়েছে চা কফির পেয়ালা। কাজে নিমগ্ন এই উদার-মনের মানুষগুলো খাওয়ার সময়টুকু ভুলে গেছেন। এতো ব্যস্ত মাঝে সবার মুখে স্মিত হাসি।

এবারে নতুন উদ্ভাবনী শিল্পকর্মও স্থান পাবে মঙ্গল শোভাযাত্রায়। বলছিলেন তানজুম নাহার পর্ণা। রাজু সরকার তিনিও চারুকলার ২৫তম ব্যচের শিক্ষার্থী। জানালেন, এবারে মঙ্গল শোভা যাত্রার উপকরণ তৈরি হচ্ছে, তাদের ব্যচের দায়িত্বে।

শিল্পকর্ম থেকে মুখ তুলে শান্ত গলায় সোহানা শাহরিন জানালেন, করোনায় তেমন বড় আকারের আয়োজন হয়নি। এবারে সেই বাধা নেই। ফলে মানুষের অংশগ্রহণটা বাড়বে।

র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন

নববর্ষের আয়োজন দেখতে প্রতিবছরই চারুকলায় নানা প্রান্ত থেকে আসা লোকজনের সমাগম ঘটে। এবারে সমাগমটা একটু বেশি। সন্তানকে সঙ্গে করে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে এসেছেন জসিম উদ্দিন। জানালেন, বৈশাখ আমাদের অহংকার। কৃষ্টি-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিকাশের অন্যতম ঠিকানা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বটমূলের মঞ্চ থেকে ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবারের নতুন বছর আবাহনের শুরু হবে। এরপর ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হবে।

দেশের অন্যতম প্রধান সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ও সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানটের আয়োজনে বর্ষবরণের সংগীতানুষ্ঠান শুরু হয়েছিলো ১৯৬৭ সালে। এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বন্ধ ছিলো। করোনা মহামারির সময় দুই বছর হয়েছে অনলাইনে। তাছাড়া আর কখনও রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন থেমে থাকেনি।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রমনা বটমূল পরিদর্শন করেন

রমনায় র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমটি যেন বাংলানববর্ষের মঞ্চ। এতো নান্দনিক উপকরণে সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কন্ট্রোল রুম সত্যিই মুগ্ধ করে।

দুপুরে রমনা বটমূলে র‌্যাবের মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেন বলেছেন, যে কোন নাশকতা মোকাবিলায় র‌্যাব প্রস্তুত। তবে নববর্ষ ঘিরে কোন রকমের নাশকতার গোয়েন্দা তথ্য নেই।

রমনা বটমূলে পরিদর্শনে আশা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছায়ানটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা জেনে কোন রকমের সমস্যা আছে কিনা। ডিএমনটি কমিশনার বলেন, নববর্ষে কোন জঙ্গী হুমকি নেই।