নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে: মাহফুজ আলম
- আপডেট সময় : ১০:১৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ৯৯ বার পড়া হয়েছে
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন : ছবি সংগ্রহ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। বিধি অনুযায়ী সার্চ কমিটির সদস্য সংখ্যা থাকবে ৬জন। এ ছাড়া বিধি অনুযায়ী যা করা দরকার, তা-ই করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে সংলাপ প্রসঙ্গ জানাতেই শনিবার রাতে এই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে কবে কীভাবে নির্বাচন হবে, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ অন্য কাজ হবে; সমান্তরালভাবে সংস্কার কমিশনও কাজ করে যাবে।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন বিধিমালা অনুযায়ী সার্চ কমিটি হওয়ার পর যাঁরা আসবেন, তাঁরা ঠিক করবেন, নির্বাচন কমিশনার কারা হবেন। এরপর অনেকগুলো নির্বাচনী কার্যক্রম আছে।
গত তিনটি নির্বাচনে তরুণেরা ভোট দিতে পারেননি। …অনেকগুলো বিষয় আছে, সেগুলো সার্চ কমিটির মাধ্যমে আসা নির্বাচন কমিশনাররা ঠিক করবেন।
সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ অথবা রাজনৈতিক লিয়াজোঁ হবে না উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় থাকবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা এসেছে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এদিন সংলাপে অংশ নেয় গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএম, লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)।
সংলাপের বিষয়বস্তু তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে সংলাপে বেশি কথা হয়েছে। গণহত্যার বিচার কার্যক্রম নিয়েও কথা হয়েছে। সংলাপে দ্রব্যমূল্যের প্রসঙ্গটিও এসেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টা পর্ষদের বিভিন্ন ব্যক্তি এখানে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন।
মাহফুজ আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আবারও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা এসেছে। আওয়ামী লীগসহ তাদের যে শরিক দল, তাদের রাজনীতি কীভাবে সীমাবদ্ধ করা যায়, তা নিয়ে কথা এসেছে। তিনটি সংসদ হয়েছে অবৈধভাবে—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪; এই তিন সংসদ কীভাবে অবৈধ ঘোষণা করা যায় সেই সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কেউ কেউ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।