ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা কলঙ্কমুক্ত করার আহ্বান Logo আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ Logo রাজবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ  ৫ ডাকাত  সদস্য গ্রেফতার Logo কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন Logo টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি Logo ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সুফলভোগী খামারিদের মাঝে ছাগল , মুরগি সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ  Logo নালিতাবাড়ীতে র‍্যাবের অভিযানে মদ সহ নাছিরকে গ্রেফতার Logo ফুলপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে গণধোলাই দিল ছাত্রজনতা Logo গোমস্তাপুর উপজেলায় কুরবানির চাহিদার তুলনায় গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি Logo চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৮ কেজি গাঁজা জব্দ 

পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত: ৭ মাস্টার এজেন্ট আটক

আব্দুল মজিদ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

খুলনার পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিস্তার রোধে পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে গত এক মাসে সাতজন অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্টকে আটক করেছে। কয়েক মাস ধরে এলাকায় অনলাইন জুয়ার বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছিল। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাইকগাছা ও কয়রা থানা পুলিশ এপ্রিল মাস থেকে জোরালো অভিযান শুরু করে।
এক মাসের অভিযানে পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটককৃতরা হলেন: কয়রা উপজেলার পাটনিখালী গ্রামের মোস্তফা বিশ্বাসের ছেলে মোঃ ইউনুস আলী (২৮), যাকে ৪ এপ্রিল আলমতলার তার নানা বাড়ি থেকে আটক করা হয়। একইদিন একই এলাকা থেকে ফরিদ উদ্দীনের ছেলে মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ (২৬) আটক করা হয়।
১৮ এপ্রিল গজালিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে নাজমুল ইসলাম বাবু (২১) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন। ২০ এপ্রিল হরিদাসকাটি গ্রামের শেখ হাসান উল্লাহর ছেলে শেখ আক্তারুজ্জামান জনি (২৮)। ২২ এপ্রিল কমলাপুর গ্রামের সালাম সানার ছেলে মোঃ রায়হান সানা (৩২) তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আটক হন। ২৮ এপ্রিল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আসাদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আবির হোসেন (২৩) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন।
সর্বশেষ, গজালিয়া গ্রামের রুহুল কুদ্দুস সরদারের ছেলে মোঃ আরাফাত হোসেন স্বপ্নীল (৩২), যাকে ১লা মে চারা বটতলা এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে, যা পরীক্ষার জন্য সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সবজেল হোসেন বলেন, অনলাইন জুয়ায় জড়িত হয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে, এমনকি আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে। অনলাইন জুয়া বন্ধ করা না গেলে অপরাধ প্রবণতা ও সামাজিক অবক্ষয় আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এ দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তাদের অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত: ৭ মাস্টার এজেন্ট আটক

আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

খুলনার পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিস্তার রোধে পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে গত এক মাসে সাতজন অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্টকে আটক করেছে। কয়েক মাস ধরে এলাকায় অনলাইন জুয়ার বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছিল। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাইকগাছা ও কয়রা থানা পুলিশ এপ্রিল মাস থেকে জোরালো অভিযান শুরু করে।
এক মাসের অভিযানে পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটককৃতরা হলেন: কয়রা উপজেলার পাটনিখালী গ্রামের মোস্তফা বিশ্বাসের ছেলে মোঃ ইউনুস আলী (২৮), যাকে ৪ এপ্রিল আলমতলার তার নানা বাড়ি থেকে আটক করা হয়। একইদিন একই এলাকা থেকে ফরিদ উদ্দীনের ছেলে মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ (২৬) আটক করা হয়।
১৮ এপ্রিল গজালিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে নাজমুল ইসলাম বাবু (২১) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন। ২০ এপ্রিল হরিদাসকাটি গ্রামের শেখ হাসান উল্লাহর ছেলে শেখ আক্তারুজ্জামান জনি (২৮)। ২২ এপ্রিল কমলাপুর গ্রামের সালাম সানার ছেলে মোঃ রায়হান সানা (৩২) তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আটক হন। ২৮ এপ্রিল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আসাদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আবির হোসেন (২৩) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন।
সর্বশেষ, গজালিয়া গ্রামের রুহুল কুদ্দুস সরদারের ছেলে মোঃ আরাফাত হোসেন স্বপ্নীল (৩২), যাকে ১লা মে চারা বটতলা এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে, যা পরীক্ষার জন্য সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সবজেল হোসেন বলেন, অনলাইন জুয়ায় জড়িত হয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে, এমনকি আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে। অনলাইন জুয়া বন্ধ করা না গেলে অপরাধ প্রবণতা ও সামাজিক অবক্ষয় আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এ দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তাদের অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার জানিয়েছে।