ফারাক্কা খোলার পর পদ্মার পানি কমছে, আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ পাউবোর
- আপডেট সময় : ০৭:০০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
ভারত ফারাক্কার ১০৯টি বাঁধের গেট খুলে দিলেও রাজবাড়ী অংশে পদ্মা নদীর পানি বাড়েনি। গেল দুই দিনের তথ্যমতে তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি কমেছে। বাঁধ খুলে দেওয়ায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা চরম আতংকে থাকলেও পানি বৃদ্ধি না পওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এতথ্য জানায়।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৫ ঘণ্টায় পাংশার সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্ট, সদরের মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্ট এবং গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি কমেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ীর তথ্য মতে, গত বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টেই পানি কমেছে দশমিক ৬ সেন্টিমিটার করে।
সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্টে বর্তমান পানি রয়েছে ৮ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার। যা গতকাল ছিল ৯ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার। মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পানি বর্তমান পানি রয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। যা গতকাল ছিল ৮ দশমিক ০১ সেন্টিমিটার। আর দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানি রয়েছে ৬ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার। যা গতকাল ছিল ৬ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার।
প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের পানি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আসতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে।পানি বাড়লে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ, কালুখালীর রতনদিয়া, হরিণবাড়িয়া, পাংশার বাহাদুরপুর, হাবাসপুর ও গোয়ালন্দের দেবগ্রাম এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে।
তবে পানি রাজবাড়ী শহর রক্ষার বেড়িবাঁধ পার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ পানি বেড়িবাঁধ পার হতে গেলে নদীতে অন্তত ১৭ ফিট পানি বাড়তে হবে। এতো পরিমাণ পানি বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন পাউবোর ওই কর্মকর্তা।
এদিকে আতংক না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেসবুকে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেইট খুলে দিয়েছে ভারত। প্রায় প্রতি বছর বর্ষাতেই গেইটগুলো খুলে দেয়া হয়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সম্ভাব্য বন্যার বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য পাংশার উপকূলের কাছাকাছি নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।