ফেণী নদী থেকে বালু উত্তোলন, ঝুঁকির মুখে বৃহত্তম মুহুরী ইরিগেশন প্রজেক্ট
- আপডেট সময় : ০৬:১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
ফেনীর সোনাগাজীতে অবৈধ নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাপুর, চর কৃষ্ণজয়, গুচ্ছগ্রাম, সদর ইউনিয়ন এবং নবাবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার হাজারো স্থাপনা। ফাজিলপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুল হক রিপনের মালিকানাধীন প্রত্যয় এন্টারপ্রাইজ বড় ফেনী নদী ও ছোট ফেনী নদী থেকে অবৈধ ভাবে প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে শর্তযুক্ত ভঙ্গ করে বালু উত্তোলন করছে। অথচ তার ইজারার স্থান মুহুরী ব্রীজ থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে।
অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে দেশের ২য় বৃহত্তম মুহুরী ইরিগেশন প্রজেক্ট, প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সাম্প্রতিক নির্মিত মুহুরী সেতু হুমকির মুখে। যেকোনো মুহুর্তে এগুলো ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ন এসব স্থাপনা ধ্বসে পড়লে পুরো সোনাগাজী ও মিরসরাই উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বৃহত্তর নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বিকল্প সড়কটি হারিয়ে যাবে। বড় ফেনী নদী ও কালিদাস পাহালিয়া নদীতে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ফখরুদ্দিন রানা, সাঈদুল হক, জাহাঙ্গীর, মামুনসহ একটি চক্র।
সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপালে ছাত্রহত্যার মামলায় আসামি হওয়ায় মুজিবুল রিপন পলাতক। কিন্তু এখন সোনাগাজীর ফখরুদ্দিন রানা নামের এক যুবলীগ নেতা মুজিবুল হক রিপনের নাম ভাঙ্গিয়ে বড় ফেনী নদীতে মুহুরী প্রজেক্ট সুইস গেট এলাকায় বালু উত্তোলন করছে।
ছোট ফেনী নদীতে সেন্টু ও জালালসহ বিভিন্ন জনের অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে সাম্প্রতিক মুছাপুর ক্লোজার সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়, ছোট ফেনী নদীর সেতু সাহেবের ঘাট সেতু ভেঙে পড়ে সোনাগাজী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ২৮ কিলোমিটার এলাকায় মানুষের বাড়ীঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন। হাট বাজার ও রাস্তাঘাট ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।