স্থায়ীভাবে মুক্তি পেলো ৩৫ শিশু
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ৩১২ বার পড়া হয়েছে
মুক্তি পাওয়া শিশু-কিশোরদের হাতে ফুল ও রাষ্ট্রিয় পতাকা তুলে দেন বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহা. হাসানুজ্জামান।
এবারে স্থায়ী মুক্তি পেলো তারা। বিভিন্ন অপরাধে ৩৫টি মামলায় ৪১ শিশু দিনের পর দিন আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলো। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজশাহী আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালত তাদের স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন।
আদালত চত্বরে মুক্তি পাওয়া শিশু-কিশোরদের হাতে ফুল ও রাষ্ট্রিয় পতাকা তুলে দেন বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহা. হাসানুজ্জামান।
মুক্তি পাওয়া এসব শিশু-কিশোরদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরন ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সঠিক পথে ফেরানোর জন্য গত ৬-৭ মাস পূর্বে আইনের সাথে সাংঘাতে জড়িত শিশুদের ডাইভারসনে দেন শিশু আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহা. হাসানুজ্জামান।
বিষয়টি নিয়ে প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশে মামলার বাদী ও শিশুর অভিভাবকের উপস্থিতিতে শিশুর চারিত্রিক ও মানসিক উন্নতির জন্য উপযুক্ত শর্তসমূহ আরোপ করা হয়। ডাইভারশনের মেয়াদ সম্পন্ন এবং আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথ ভাবে প্রতিপালন করায় বিজ্ঞ আদালত ৩৫ জন শিশুকে চূড়ান্ত মুক্তি দিয়েছেন।
ঐতিহাসিক ২৬ মার্চের মহান স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন আমরা শিশুদের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা এবং গোলাপ-রজনী গন্ধা তুলে দিয়েছি। এই শিশুরা স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের রক্তাক্ত ইতিহাস জানবে, দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে হয়ে গড়ে উঠবে, রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হবে এবং আগামী দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষক হবে এই প্রত্যাশা করি।
তবে মামলার রায়ে সন্তুষ্টি নিয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী নাসরীন আকতার মিতা বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তে মামলার উভয় পক্ষেরই সন্তুষ্টি রয়েছে।
বিগত ১ বছরে রাজশাহীর শিশু আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক প্রায় ৮০ টি মামলায় ৮০ জন শিশুর কল্যাণে পারিবারিক সম্মেলনের মাধ্যমে
ডাইভারশন গ্রহণের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তা কে আদেশ প্রদান করেন।