ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ ২৮৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বান্দরবানে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আপুই মং মারমা (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

২৭ মার্চ (বুধবার) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল আদালতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নাহার আয়শা এই রায় আদেশ দেন। আপুই মং মারমা (৬৫) রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের থোয়াই অংগ্য পাড়া গ্রামে মৃত সাপ্রু অং মার্মার ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে মেসা চিং মারমাকে (৫৪) বিয়ে করেন আপুই মং মারমা। বিয়ের পর মেসা চিং মারমা তার তিন বছরের কন্যা শিশুকে নিয়ে স্বামী বাড়িতে চলে আসে। শিশুটি সেখানে লালন পালন হওয়ার আপুই মংকে বাবা হিসেবে জানে।

কিন্তু২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে সৎ মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছিলেন আপুই মং।

এক পর্যায়ে শিশুটির গর্ভবতী হয়ে আপন ভাই হ্লামং সিং এর বাড়িতে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে শিশুটির মা মেসা চিং মার্মা তার স্বামী বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। তিন বছর পর আদালতে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আপুই মং মারমাকে (৬৫) এই রায় প্রদান করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর বাসিং থুয়াই মারমা জানান, সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সৎ বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০৩:১১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

 

বান্দরবানে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আপুই মং মারমা (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

২৭ মার্চ (বুধবার) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল আদালতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নাহার আয়শা এই রায় আদেশ দেন। আপুই মং মারমা (৬৫) রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের থোয়াই অংগ্য পাড়া গ্রামে মৃত সাপ্রু অং মার্মার ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে মেসা চিং মারমাকে (৫৪) বিয়ে করেন আপুই মং মারমা। বিয়ের পর মেসা চিং মারমা তার তিন বছরের কন্যা শিশুকে নিয়ে স্বামী বাড়িতে চলে আসে। শিশুটি সেখানে লালন পালন হওয়ার আপুই মংকে বাবা হিসেবে জানে।

কিন্তু২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে সৎ মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছিলেন আপুই মং।

এক পর্যায়ে শিশুটির গর্ভবতী হয়ে আপন ভাই হ্লামং সিং এর বাড়িতে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে শিশুটির মা মেসা চিং মার্মা তার স্বামী বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। তিন বছর পর আদালতে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আপুই মং মারমাকে (৬৫) এই রায় প্রদান করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর বাসিং থুয়াই মারমা জানান, সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সৎ বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।