ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিএনপির সংবাদ সম্মেলন Logo রাজশাহী বিএনপির নতুন নেতৃত্বে মামুন-রিটন Logo সুন্দরগঞ্জে গরু চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, এক নারী আটক Logo ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ-কাজী নাজমুল হোসেন তাপস Logo শেরপুর জেলার বরবটি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে,কৃষকের মূখে হাসি Logo রামগতিতে অর্থের অভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেনা, স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া Logo মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের আসামিরা উপদেষ্টার হেফাজতে, আসামি ধরছে না পুলিশ Logo জয়পুরহাটে অসময়ে টানা তিনদিনের বৃষ্টি, আমন-সবজির ক্ষতির আশঙ্কা Logo আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক Logo পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্য তহবিলে জামায়াতের ১০ লাখ টাকা অনুদান

মাছ ধরার ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি, জেলে নিহত

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে সাগরে বাংলাদেশি একটি মাছ ধরার ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে গুলি ছোঁড়া গুলিতে মো. ওসমান নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও তিনজন। এ সময় ৬০জন মাঝি-মাল্লাসহ চারটি ট্রলার মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশ্য পরে সেগুলো ছেড়ে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকাধীন ট্রলারে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলারগুলো এ ঘটনার শিকার হয়। এজন্য মিয়ানমারের নৌবাহিনীকে অভিযুক্ত করছেন ট্রলার মালিকরা।

নিহত জেলে মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে ও দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত তিন জেলেও একই ট্রলারের। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করেন। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ চারজনের মধ্যে একজন মারা যান।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত ও আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।

ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মরদেহ নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নানাভাবে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গুলিবিদ্ধ একজন মারা গেছেন। আহত তিনজন। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় রয়েছি। ঘাটে আসার পর জানা যাবে। একই সঙ্গে অপর চারটি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাছ ধরার ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি, জেলে নিহত

আপডেট সময় :

 

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে সাগরে বাংলাদেশি একটি মাছ ধরার ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে গুলি ছোঁড়া গুলিতে মো. ওসমান নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও তিনজন। এ সময় ৬০জন মাঝি-মাল্লাসহ চারটি ট্রলার মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশ্য পরে সেগুলো ছেড়ে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকাধীন ট্রলারে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলারগুলো এ ঘটনার শিকার হয়। এজন্য মিয়ানমারের নৌবাহিনীকে অভিযুক্ত করছেন ট্রলার মালিকরা।

নিহত জেলে মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে ও দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত তিন জেলেও একই ট্রলারের। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করেন। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ চারজনের মধ্যে একজন মারা যান।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত ও আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।

ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মরদেহ নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নানাভাবে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গুলিবিদ্ধ একজন মারা গেছেন। আহত তিনজন। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় রয়েছি। ঘাটে আসার পর জানা যাবে। একই সঙ্গে অপর চারটি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।