ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজধানীতে আসছে উত্তরাঞ্চলের মৌসুমি কসাই Logo জমে উঠছে রাজধানীর পশুরহাট ব্যাপারীরা ক্রেতার অপেক্ষায় Logo ভোগান্তিহীন স্বস্তির ঈদযাত্রা ঢাকার ভেতরেই যত বিড়ম্বনা Logo কালীগঞ্জে ৩ হাজার ২শত কৃষককে দেওয়া হল বিনামূল্যে সার ও বীজ Logo খাতের সফল খামারি উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান Logo কাজী মামুনুর রশীদ কচি সদস্য হওয়াতে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা Logo মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা Logo ইসলামপুর ইউনিয়নে ঈদের চাল নিয়ে পরিষদ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ Logo মর্গ্যান স্কুলের দুর্নীতির তদন্তে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধর, ৬ শিক্ষকের নামে মামলা Logo মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের জেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

গাইবান্ধায় চল্লিশা খেয়ে দুই শতাধিক বিভিন্ন বয়সের মানুষ অসুস্থ

শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
গাইবান্ধায় চল্লিশার দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই শতাধিক বিভিন্ন বয়সী মানুষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুইশতেরও বেশি রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানান, রোববার সকালে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী রিফাইতপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক বেলালের মায়ের চল্লিশা (মজলিস) ছিল। সেখানে তার স্বজন ও এলাকাবাসীসহ প্রায় ১ হাজার মানুষ অংশ নেন। চল্লিশা (মজলিস) খাওয়ার পর ওইদিন মধ্যরাত থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে প্রাথমিকভাবে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সোমবার সকাল থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন। অসুস্থ হওয়া রোগীরা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল, পার্শ্ববর্তী ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন রোগী জানান, দাওয়াত খাওয়ার পর মাঝরাত থেকে দুজনের ডায়রিয়া শুরু হয়। আমাদের আরও অনেক আত্মীয়ও এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। কারো মধ্যরাত থেকে ডায়রিয়া, বমি শুরু হয়। আবার কারও সকাল, দুপুর থেকে শুরু হয়। অনেক শিশুও খুব অসুস্থ।
গাইবান্ধা হাসপাতাল ও ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮৯ জন বিভিন্ন বয়সী রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধা হাসপাতালে ১২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫১ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ফুলছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৫ জন চিকিৎসা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আরিফা খানম জানান, খাদ্যের বিষক্রিয়ায় কারণে অসুস্থ হয়ে তারা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত রোগীরা আসছেন। সবাইকে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুজ্জামান জানান, মজলিসের আটার ডাল খেয়ে তারা অসুস্থ হয়েছেন। আমরা স্বল্প জনবল দিয়ে তাদের সাধ্যমত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুইজনকে রংপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাইবান্ধায় চল্লিশা খেয়ে দুই শতাধিক বিভিন্ন বয়সের মানুষ অসুস্থ

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাইবান্ধায় চল্লিশার দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই শতাধিক বিভিন্ন বয়সী মানুষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুইশতেরও বেশি রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানান, রোববার সকালে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী রিফাইতপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক বেলালের মায়ের চল্লিশা (মজলিস) ছিল। সেখানে তার স্বজন ও এলাকাবাসীসহ প্রায় ১ হাজার মানুষ অংশ নেন। চল্লিশা (মজলিস) খাওয়ার পর ওইদিন মধ্যরাত থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে প্রাথমিকভাবে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সোমবার সকাল থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন। অসুস্থ হওয়া রোগীরা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল, পার্শ্ববর্তী ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন রোগী জানান, দাওয়াত খাওয়ার পর মাঝরাত থেকে দুজনের ডায়রিয়া শুরু হয়। আমাদের আরও অনেক আত্মীয়ও এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। কারো মধ্যরাত থেকে ডায়রিয়া, বমি শুরু হয়। আবার কারও সকাল, দুপুর থেকে শুরু হয়। অনেক শিশুও খুব অসুস্থ।
গাইবান্ধা হাসপাতাল ও ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮৯ জন বিভিন্ন বয়সী রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধা হাসপাতালে ১২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫১ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ফুলছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৫ জন চিকিৎসা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আরিফা খানম জানান, খাদ্যের বিষক্রিয়ায় কারণে অসুস্থ হয়ে তারা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত রোগীরা আসছেন। সবাইকে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুজ্জামান জানান, মজলিসের আটার ডাল খেয়ে তারা অসুস্থ হয়েছেন। আমরা স্বল্প জনবল দিয়ে তাদের সাধ্যমত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুইজনকে রংপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।