সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুট
দুদকের অনুসন্ধানে জড়িত ৪২ জনের নাম প্রকাশ

- আপডেট সময় : ৪১ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত মোট ৪২ জনকে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম একাধিক অভিযান ও অনুসন্ধান চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে। গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) জাতীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদাপাথর চুরির ঘটনায় শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নয়, বরং খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদেরও কর্তব্যে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভোলাগঞ্জ থেকে ১০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট মূল্যবান সাদাপাথর উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গত এক বছরে মোট ৪০ লাখ ঘনফুট পাথর চুরি হয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে। চুরির ঘটনা প্রথম ধরা পড়ে গত ১০ আগস্ট। এরপর ১৩ আগস্ট দুদক ভোলাগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায়।
বিএনপির ২০ নেতাকর্মী: সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য ও ব্যবসায়ী হাজি কামাল, সাবেক শ্রমিকদল নেতা লাল মিয়া, যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন দুদু, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ, দপ্তর সম্পাদক দুলাল মিয়া দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া, যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী ও মানিক মিয়া, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান, কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স।
আওয়ামী লীগের ৭ কর্মী: কার্যক্রম নিষিদ্ধ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী বিলাল মিয়া, শাহাবুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহ-সভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান।
জামায়াতের দুই নেতা: মহানগর আমির মো. ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।
এনসিপির দুই নেতা: সিলেট জেলা প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।
অন্য ১১ জন: ভোলাগঞ্জ এলাকার আনর আলী, উসমান খাঁ, ইকবাল হোসেন আরিফ, দেলোয়ার হোসেন জীবন, আরজান মিয়া, মো. জাকির, আলী আকবর, আলী আব্বাস, মো. জুয়েল, আলমগীর আলম ও মুকাররিম আহমেদ।
দুদকের বক্তব্য: দুদকের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন জানান, “এনফোর্সমেন্ট টিম প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধনের তথ্য কমিশনে দাখিল করবে। প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”