ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

আগুনেপোড়া ভবনের মালিককে ৩ বার সতর্ক নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ২১৪ বার পড়া হয়েছে

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আইনের তোয়াক্কা করেননি আগুনেপোড়া ভবন মালিক। অথচ তাদের তিন তিনবার সতর্ক নোটিশ দেওয়া পরও অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি কানে তোলেনি ভবন মালিক। এই অভিযোগ উচ্চারিত হলো স্বয়ং ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীনের কণ্ঠে।

ভবনটি তিনটি খাবারের দোকান ছিল। সিঁড়িতে ছিলো গ্যাস সিলিন্ডার। আর নিরাপত্তা ছিলো নড়বড়ে। আগুন লাগার পর এেেকর পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে এবং গোটা ভবনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা।

পোড়া ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ভবনটির কোন কমপ্লায়েন্স ছিল না। অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাসরুদ্ধ অনেকের মৃত্যু ঘটেছে। বহু সংখ্যক গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো। ফলে ভবনটি ছিল অগ্নিচুল্লির মতো। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দাউ দাউ জ¦লে ওঠে এবং ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

আর স্থপতি ইকবাল হাবিবের ভাষায় বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া ভবনটি সব নিয়মের বাইরে ছিলো এবং কোনো বিল্ডিং কোড মানেনি।

পিবিআই এসপি মিজানুর রহমান শেলীর মতে ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা না থাকার বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ভবনের ভয়াবহ আগুন সিলিন্ডার অথবা গ্যাসলাইন থেকে ঘটার আশঙ্কা করেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম জানালেন, ভবনটিতে একটিমাত্র সিঁড়ি যেটি অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার।

ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আগুনেপোড়া ভবনের মালিককে ৩ বার সতর্ক নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

 

আইনের তোয়াক্কা করেননি আগুনেপোড়া ভবন মালিক। অথচ তাদের তিন তিনবার সতর্ক নোটিশ দেওয়া পরও অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি কানে তোলেনি ভবন মালিক। এই অভিযোগ উচ্চারিত হলো স্বয়ং ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীনের কণ্ঠে।

ভবনটি তিনটি খাবারের দোকান ছিল। সিঁড়িতে ছিলো গ্যাস সিলিন্ডার। আর নিরাপত্তা ছিলো নড়বড়ে। আগুন লাগার পর এেেকর পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে এবং গোটা ভবনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা।

পোড়া ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ভবনটির কোন কমপ্লায়েন্স ছিল না। অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাসরুদ্ধ অনেকের মৃত্যু ঘটেছে। বহু সংখ্যক গ্যাস সিলিন্ডার ছিলো। ফলে ভবনটি ছিল অগ্নিচুল্লির মতো। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দাউ দাউ জ¦লে ওঠে এবং ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

আর স্থপতি ইকবাল হাবিবের ভাষায় বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া ভবনটি সব নিয়মের বাইরে ছিলো এবং কোনো বিল্ডিং কোড মানেনি।

পিবিআই এসপি মিজানুর রহমান শেলীর মতে ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা না থাকার বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ভবনের ভয়াবহ আগুন সিলিন্ডার অথবা গ্যাসলাইন থেকে ঘটার আশঙ্কা করেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম জানালেন, ভবনটিতে একটিমাত্র সিঁড়ি যেটি অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার।

ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন।