ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

গণঅভ্যুত্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্ব পালনের আহবান জানালেন তথ্য সচিব মাহবুবা ফারজানা

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম: মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য ও ফ্যাক্ট চেকিং“ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

 

আমিনুল হক ভূইয়া

দীর্ঘ সময় হৃদয়ে রক্তক্ষণ  পেরিয়ে একটি মুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ নিয়ে নানা রকমের অপতথ্য প্রচার করতে কসুর করেনি দেশি-বিদেশি গোষ্ঠী। দেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পাইকারীহারে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকার মজবুত ভাবে আগলে রেখেছে আমজনতা।

চোখের সামনে আসা নানা রকমের তথ্য যাচাই-বাচাই করে প্রকাশ করা হলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তি হবেন না। কিভাবে যাচাই-বাচাই করা সম্ভব তার ধারণা দিতেই সময়োপয়োগী ‘বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম: মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য ও ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ক কর্মশালার  আয়োজন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট বুধবার (৩০ অক্টোবর) ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে সফল এই আয়োজনটি সম্পন্ন করে। যেখানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ৬০ জনের অধিক সদস্য যুক্ত ছিলেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হয়ে আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই প্রমাণ মিললো সাংবাদিকতা পেশার প্রতি তাঁর  ভালোবাসা। ডেইলী স্টার এবং ফিনিন্সিয়াল এক্সপ্রেসে লেখালেখির তাগিদটা ছিলো হৃদমন্দির থেকে। মানবাধিকার নিয়েও লেখালেখি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের এই পড়ুয়া।

একটা লম্বা সময়  লেখালেখির তাগিদ অনুভব করেছেন, কিন্তু কলম দরতে পারেননি। হৃদয়ে রক্ষরণ নিয়েই ছটপট করতে হয়েছে। তাঁর কথাবার্তায় শতভাগ মানবতার সমর্থন  প্রকাশ পায়।

তাই, সরল আহ্বান-আসুন আমরা একসঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করি। যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই যুক্ত থাকার চেষ্টা করা হবে। ভালো কাজের সঙ্গে তাঁর জড়িয়ে থাকার আকূলতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

মোলায়েম কণ্ঠে উচ্চারণ করেন, সংবাদমাধ্যমকর্মীরা ইতিবাচক পরিবর্তনের অন্যতম নিয়ামক শক্তি। জনমত গঠনে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। তথ্য সচিব তার বক্তৃতায় বলেন, আজকের বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিলো। তাদের দেয়া তথ্যে আমরা ছাত্র আন্দোলনের সময় ঘরে বসে খবর জানতে পেরেছি। তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের পাশে থাকবে।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সদস্য এবং দৈনিক মানবজমিনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাজেদুল হক এবং বার্তা সংস্থা এএফপি-র ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দীন শিশির। কর্মশালায় ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ-এর সঞ্চালনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা সম্মানিত অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।

ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ তার বক্তৃতায় বলেন, বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ফ্যাক্ট চেক প্রশিক্ষণ সব সাংবাদিকের জন্য গুরুত্বপূর্ন। কেননা একটি ভুল নিউজ রাষ্ট্র ও সমাজকে বড় ধরণেল বিপদে ফেলে দিতে পারে। তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিক। কিন্তু রাষ্ট্র সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে ততটা মনোযোগী নয়, যতটা হওয়া দরকার। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিইউটের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ডিআরইউ তথা দেশের সব সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা জরুরী ।

আলোচকগণ যে কোন তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া শেয়ার না করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দেন এবং সংবাদমাধ্যমকর্মীসহ সকলের অংশগ্রহণে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য রফিক মৃর্ধা। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

 

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গণঅভ্যুত্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্ব পালনের আহবান জানালেন তথ্য সচিব মাহবুবা ফারজানা

আপডেট সময় : ০৬:২০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

 

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম: মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য ও ফ্যাক্ট চেকিং“ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

 

আমিনুল হক ভূইয়া

দীর্ঘ সময় হৃদয়ে রক্তক্ষণ  পেরিয়ে একটি মুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ নিয়ে নানা রকমের অপতথ্য প্রচার করতে কসুর করেনি দেশি-বিদেশি গোষ্ঠী। দেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পাইকারীহারে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকার মজবুত ভাবে আগলে রেখেছে আমজনতা।

চোখের সামনে আসা নানা রকমের তথ্য যাচাই-বাচাই করে প্রকাশ করা হলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তি হবেন না। কিভাবে যাচাই-বাচাই করা সম্ভব তার ধারণা দিতেই সময়োপয়োগী ‘বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম: মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য ও ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ক কর্মশালার  আয়োজন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট বুধবার (৩০ অক্টোবর) ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে সফল এই আয়োজনটি সম্পন্ন করে। যেখানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ৬০ জনের অধিক সদস্য যুক্ত ছিলেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হয়ে আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই প্রমাণ মিললো সাংবাদিকতা পেশার প্রতি তাঁর  ভালোবাসা। ডেইলী স্টার এবং ফিনিন্সিয়াল এক্সপ্রেসে লেখালেখির তাগিদটা ছিলো হৃদমন্দির থেকে। মানবাধিকার নিয়েও লেখালেখি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের এই পড়ুয়া।

একটা লম্বা সময়  লেখালেখির তাগিদ অনুভব করেছেন, কিন্তু কলম দরতে পারেননি। হৃদয়ে রক্ষরণ নিয়েই ছটপট করতে হয়েছে। তাঁর কথাবার্তায় শতভাগ মানবতার সমর্থন  প্রকাশ পায়।

তাই, সরল আহ্বান-আসুন আমরা একসঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করি। যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই যুক্ত থাকার চেষ্টা করা হবে। ভালো কাজের সঙ্গে তাঁর জড়িয়ে থাকার আকূলতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

মোলায়েম কণ্ঠে উচ্চারণ করেন, সংবাদমাধ্যমকর্মীরা ইতিবাচক পরিবর্তনের অন্যতম নিয়ামক শক্তি। জনমত গঠনে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। তথ্য সচিব তার বক্তৃতায় বলেন, আজকের বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিলো। তাদের দেয়া তথ্যে আমরা ছাত্র আন্দোলনের সময় ঘরে বসে খবর জানতে পেরেছি। তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের পাশে থাকবে।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সদস্য এবং দৈনিক মানবজমিনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাজেদুল হক এবং বার্তা সংস্থা এএফপি-র ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দীন শিশির। কর্মশালায় ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ-এর সঞ্চালনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা সম্মানিত অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।

ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ তার বক্তৃতায় বলেন, বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ফ্যাক্ট চেক প্রশিক্ষণ সব সাংবাদিকের জন্য গুরুত্বপূর্ন। কেননা একটি ভুল নিউজ রাষ্ট্র ও সমাজকে বড় ধরণেল বিপদে ফেলে দিতে পারে। তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিক। কিন্তু রাষ্ট্র সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে ততটা মনোযোগী নয়, যতটা হওয়া দরকার। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিইউটের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ডিআরইউ তথা দেশের সব সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা জরুরী ।

আলোচকগণ যে কোন তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া শেয়ার না করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দেন এবং সংবাদমাধ্যমকর্মীসহ সকলের অংশগ্রহণে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য রফিক মৃর্ধা। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।