ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জয়পুরহাটে কুয়াশার চাদরে ঘাঁসফুলে শিশির কণা-নানা আয়োজনে শীতের আনাঘণা

এম.এ.জলিল রানা, জয়পুরহাট
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ৯২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

উত্তরজনপদের সিমান্তের কোলঘেঁষা ছোট্ট জেলা শহর জয়পুরহাট। ষর ঋতুর খেয়ালীপনার দুয়ারে অপেক্ষায় শীত। হেমন্তর হিমেল হাওয়ায় জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তার।জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি,শিশির ভেজা সবুজের মাঠ আর কুয়াশার চাদরমুড়ি সেই জানানই দিচ্ছে।

শহরগুলোতে ইট,পাথরের দালান কোঠার ভিরে শীত একটু পরে এলেও গ্রামে অবশ্য রিতিমত উঁকি দিচ্ছে শীত। চিরায়ত গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নতুন ধান তোলার আনন্দের পাশাপাশি চলছে শীতের শীত বরণের নানা আয়োজন।পূব আকাশে রক্তিম সূর্যের আলোর ছটা পড়ার আগেই যেন শীত শীত অনুভাবের ঘুমে আড়মোড়া ভেঙে সবার আগে বেরিয়ে পড়েন গ্রামের কিষাণ কিষাণীরা।

বাতাসে কনকনে হিমেল অনুভূত না হলেও শিশির ভেজা ধান জানান দিচ্ছে শীত এলো। শিশির কণা জমেছে ঘাঁসফুল ও লতা-পাতা আর  দীগন্তড়োড়া ফসলের মাঠে। তবে কুয়াশা ভেদ করে লাল আভার ছটা নিয়ে পুব আকাশে সূর্যের দেখা পেতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয় । এসময় এক অন্য রকম আলোয় ভরে থাকে ঘণ সবুজ প্রকৃতির চারপাশ।এরি মঝেই রোপা আমান কাটা-মাড়ায়ে অনেকটায় ব্যস্ত কিষাণ কিষাণীরা।এখন ধীরে ধীরে চাষীদের ঘরে ঘরে এই ধানেই জমে উঠবে নবান্ন সহ শীত আমেজে পিঠাপুলির নানান আয়োজন ।

জেলার সদর উপজেলার গংগাদাসপুর গ্রামের চাষী একরামুল ইসলাম জনিয়েছেন, আমাদের উত্তরাঞ্চলের জেলা জয়পুরহাটে শীতের আগাম বার্তা জানান দিচ্ছে।সকালে কুয়াশা আর সন্ধ্যায় একটু শীত উল্লেখ করে  তিনি আরো জানান, এখন আমরা আগাম ধান কাটতে শুরু করেছি। এই ধান কেটে মেয়ে-জামাইদের বাসায় ডাকবো।খাওয়াবো তাদের নতুন চালের ক্ষীর আর রকমারী পিঠাপুলি।

একই উপজেলার কড়ই কাদিরপুর  গ্রামের চাষী এমরান হোসেন জানান,এখন আমরা শীতের আগাম জাতের বাধা কপি, ফুল কপি, বেগুন সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করছি। শীত এলে আমাদের কাজের চাপও অনেটা বেড়ে যায়। ধান কাটা-মাড়াই,আলু লাগানো সহ বিভিন্ন আগাম জাতের ফসল চাষাবাদে আমরা ব্যস্ত সময় পার করি ।

জয়পুরহাট সরকারী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তুলসী দাস মহন্ত জানান,গ্রাম বাংলার আবহমান কাল থেকেই শীত এলেই আগাম সবজির ক্ষেতে কৃষকের ব্যস্ততা বেড়ে যায,এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান,হেমন্তের সকাল শেষে যখন সন্ধ্যা আসে,শুরু হয় বাড়ি ফেরার পালা। কুয়াশার চাদর জানান দেয় শীত এলো বলে।সে ক্ষেত্রে শীতে চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে আগাম জাতের শাক-সবজি। কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে কুয়াশার চাদরে ঘাঁসফুলে শিশির কণা-নানা আয়োজনে শীতের আনাঘণা

আপডেট সময় : ০৩:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

 

উত্তরজনপদের সিমান্তের কোলঘেঁষা ছোট্ট জেলা শহর জয়পুরহাট। ষর ঋতুর খেয়ালীপনার দুয়ারে অপেক্ষায় শীত। হেমন্তর হিমেল হাওয়ায় জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তার।জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি,শিশির ভেজা সবুজের মাঠ আর কুয়াশার চাদরমুড়ি সেই জানানই দিচ্ছে।

শহরগুলোতে ইট,পাথরের দালান কোঠার ভিরে শীত একটু পরে এলেও গ্রামে অবশ্য রিতিমত উঁকি দিচ্ছে শীত। চিরায়ত গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নতুন ধান তোলার আনন্দের পাশাপাশি চলছে শীতের শীত বরণের নানা আয়োজন।পূব আকাশে রক্তিম সূর্যের আলোর ছটা পড়ার আগেই যেন শীত শীত অনুভাবের ঘুমে আড়মোড়া ভেঙে সবার আগে বেরিয়ে পড়েন গ্রামের কিষাণ কিষাণীরা।

বাতাসে কনকনে হিমেল অনুভূত না হলেও শিশির ভেজা ধান জানান দিচ্ছে শীত এলো। শিশির কণা জমেছে ঘাঁসফুল ও লতা-পাতা আর  দীগন্তড়োড়া ফসলের মাঠে। তবে কুয়াশা ভেদ করে লাল আভার ছটা নিয়ে পুব আকাশে সূর্যের দেখা পেতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয় । এসময় এক অন্য রকম আলোয় ভরে থাকে ঘণ সবুজ প্রকৃতির চারপাশ।এরি মঝেই রোপা আমান কাটা-মাড়ায়ে অনেকটায় ব্যস্ত কিষাণ কিষাণীরা।এখন ধীরে ধীরে চাষীদের ঘরে ঘরে এই ধানেই জমে উঠবে নবান্ন সহ শীত আমেজে পিঠাপুলির নানান আয়োজন ।

জেলার সদর উপজেলার গংগাদাসপুর গ্রামের চাষী একরামুল ইসলাম জনিয়েছেন, আমাদের উত্তরাঞ্চলের জেলা জয়পুরহাটে শীতের আগাম বার্তা জানান দিচ্ছে।সকালে কুয়াশা আর সন্ধ্যায় একটু শীত উল্লেখ করে  তিনি আরো জানান, এখন আমরা আগাম ধান কাটতে শুরু করেছি। এই ধান কেটে মেয়ে-জামাইদের বাসায় ডাকবো।খাওয়াবো তাদের নতুন চালের ক্ষীর আর রকমারী পিঠাপুলি।

একই উপজেলার কড়ই কাদিরপুর  গ্রামের চাষী এমরান হোসেন জানান,এখন আমরা শীতের আগাম জাতের বাধা কপি, ফুল কপি, বেগুন সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করছি। শীত এলে আমাদের কাজের চাপও অনেটা বেড়ে যায়। ধান কাটা-মাড়াই,আলু লাগানো সহ বিভিন্ন আগাম জাতের ফসল চাষাবাদে আমরা ব্যস্ত সময় পার করি ।

জয়পুরহাট সরকারী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তুলসী দাস মহন্ত জানান,গ্রাম বাংলার আবহমান কাল থেকেই শীত এলেই আগাম সবজির ক্ষেতে কৃষকের ব্যস্ততা বেড়ে যায,এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান,হেমন্তের সকাল শেষে যখন সন্ধ্যা আসে,শুরু হয় বাড়ি ফেরার পালা। কুয়াশার চাদর জানান দেয় শীত এলো বলে।সে ক্ষেত্রে শীতে চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে আগাম জাতের শাক-সবজি। কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।