১০ লাখ টাকার স্বর্ণ চুরি করলেন কাস্টম কর্মকর্তা পিংকু রায়
- আপডেট সময় : ১১:৩০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৯২ বার পড়া হয়েছে
সহকারী কাস্টমস কর্মকর্তা পিংকু রায় স্বর্ণের বার চুরির কথা স্বীকার করেছেন
পরে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তৎপরতায় উদ্ধার হয়
সহকারী কাস্টমস কর্মকর্তা পিংকু রায় ১০ লাখ টাকার স্বর্ণের বার চুরির কথা স্বীকার করেছেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিট। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন মহিবুর রহমান। তার সঙ্গে ছিল ১১৬ গ্রাম ওজনের এক পিস স্বর্ণের বার। কাস্টমস জোনে এই স্বর্ণের বারের শুল্ক দিয়ে বেড়িয়ে আসেন।
মহিবুর রহমান গাড়িতে ওঠার জন্য ক্যানোপি-২ এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তার খেয়াল হয়, পকেটে থাকা স্বর্ণের বারটি নেই। এরপর টার্মিনালে ফিরে যান তিনি। কাস্টমস জোনে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও স্বর্ণের বারটি না পেয়ে অভিযোগ দেন এপিবিএনকে।
অভিযোগের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কাস্টমস জোনে মহিবুর রহমানের বারটি পড়ে যায়। কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনের সামনে ফ্লোরে পড়ে থাকা স্বর্ণের বারটি এক ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পা দিয়ে লাথি মেরে এক পাশে সরিয়ে দেন। পরে সুযোগ বুঝে স্বর্ণের বারটি পকেটে নিয়ে দ্রুত বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
যিনি স্বর্ণের বারটি হাতিয়ে নেন, তিনি ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পিংকু রায়। তিনি কাস্টমসের ট্রানজিট ও মূল্যবান গুদামের দায়িত্বে রয়েছেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পিংকু রায়কে ফোন করে আর্মড পুলিশের অফিসে আনা হয়। তারপর স্বর্ণের বারটি নিজ হেফাজতে নেয়ার কথা স্বীকার করেন এবং ফেরত দিতে রাজি হন।
যাত্রীর ১০ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার কৌশলে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া কাস্টমস কর্মকর্তার কাছ থেকে স্বর্ণের বারটি বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তৎপরতায় উদ্ধার হয়। এ ঘটনা ঢাকা কাস্টমসকে জানিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রায়কে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কাস্টমসের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।