সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার হলে দেশ গরিব থাকবে না: উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৮:২১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪ ৯২ বার পড়া হয়েছে
দেশের প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে, দেশ আর গরিব থাকবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে ইউএসএআইডি-এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের রেজাল্ট শেয়ারিং এবং ফেজ-আউট ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা তা বাড়াতে চাই। ইকোফিশ-২ প্রকল্পে নারীর সম্পৃক্ততা বেশ উল্লেখযোগ্য, এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে তাদের ক্ষমতায়ন বাড়বে।
ইলিশ মাছকে বড় সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মা ইলিশ রক্ষার সাথে জড়িত জেলেদেরও রক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা যেন কষ্ট না পান, সেজন্য সরকার আরও সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
উপকূলের নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ‘ইকোফিশ-২’ প্রকল্পকে আরও কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সমুদ্র ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করছে ইউএসএআইডি’র ইকোফিশ-২। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমুদ্র ও উপকূলের পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রকল্পটি প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবন ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। নদ-নদীতে ইলিশের পাশাপাশি অন্য জলজ প্রাণী রক্ষায় সাগরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করে থাকে। আর একাজে ইকোফিশ-২ মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর মিশন পরিচালক রিড জে. অ্যশলিম্যান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.অনুরাধা ভদ্র, ওয়ার্ল্ডফিশের প্রোগ্রাম অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ড. এ্যান এলিজাবেথ ফ্লেমিং, ইকো ফিস প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ড. মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন, ইকোফিস-২ প্রকল্পের ফোকাল পার্সন মিস সালমা আক্তার।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ওয়ার্ল্ডফিশ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং বেনিফিশিয়ারিরাও উপস্থিত ছিলেন।