ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগামী ২৮শে মার্চ বেইজিংয়ে শির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস Logo শ্রীপুরে আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন Logo তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ডামুড্যায় জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির অধীনে রাখতে মানববন্ধন Logo সব সাংবাদিক আমার কাছে সমান, কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না : চকরিয়ার নবাগত ওসি Logo ময়মনসিংহে মিশুক চালকের মরদেহ উদ্ধার Logo নাটোরে আদিবাসীদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo না ফেরার দেশে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু Logo ত্রিশালে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন  অবস্থান কর্মসূচি   Logo এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে মানববন্ধন

জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ ২৯২ বার পড়া হয়েছে

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ : ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সোমালিয়ান জলদস্যু ও বাংলাদেশি জাহাজের মালিক পক্ষের যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। ২৩ নাবিকসহ জাহাজ জিম্মির ৯ দিনের মাথায় দস্যুদের সঙ্গে এই যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হলো।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হবার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

মিজানুল বলেন, বুধবার সোমালিয়ার দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। আশা করছি উভয় পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হবে। জাহাজের জিম্মি নাবিকরা সুস্থভাবে ফিরে আসবেন। আলোচনায় দস্যুদের দাবি-দাওয়া বা শর্ত এসব বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেননি মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরীর মতে, এখানে চার ধরনের দস্যু গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপ জাহাজ আটক করেছে। আরেকটা গ্রুপ জাহাজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আর চার নম্বর গ্রুপের দায়িত্ব মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করা। এখন কোন গ্রুপ যোগাযোগ করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

জাহাজের ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলেছেন, দস্যুরা মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে কত ডলার দাবি করেছে তা বলা যাচ্ছে। প্রথমে দস্যুরা অনেক বেশি দাবি করে এবং পরবর্তীতে উভয়ের পক্ষের দরকষাকষিতে কমে আসবে।

দস্যুরা অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং তীর থেকে মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জলদস্যুদের ওপর যৌথভাবে চাপ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী।

আতিক ইউ এ খান আরও বলেন, নৌবাহিনীর চাপের ফলে সব নাবিককে এখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ

আপডেট সময় : ০৫:২৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

 

সোমালিয়ান জলদস্যু ও বাংলাদেশি জাহাজের মালিক পক্ষের যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। ২৩ নাবিকসহ জাহাজ জিম্মির ৯ দিনের মাথায় দস্যুদের সঙ্গে এই যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হলো।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হবার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

মিজানুল বলেন, বুধবার সোমালিয়ার দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। আশা করছি উভয় পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা হবে। জাহাজের জিম্মি নাবিকরা সুস্থভাবে ফিরে আসবেন। আলোচনায় দস্যুদের দাবি-দাওয়া বা শর্ত এসব বিষয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেননি মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরীর মতে, এখানে চার ধরনের দস্যু গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপ জাহাজ আটক করেছে। আরেকটা গ্রুপ জাহাজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আর চার নম্বর গ্রুপের দায়িত্ব মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করা। এখন কোন গ্রুপ যোগাযোগ করেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

জাহাজের ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলেছেন, দস্যুরা মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে কত ডলার দাবি করেছে তা বলা যাচ্ছে। প্রথমে দস্যুরা অনেক বেশি দাবি করে এবং পরবর্তীতে উভয়ের পক্ষের দরকষাকষিতে কমে আসবে।

দস্যুরা অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং তীর থেকে মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে জলদস্যুদের ওপর যৌথভাবে চাপ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় নৌবাহিনী।

আতিক ইউ এ খান আরও বলেন, নৌবাহিনীর চাপের ফলে সব নাবিককে এখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।