প্রতারক শেখ সোহেলকে দেশে আনার উদ্যোগ
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ৬০ বার পড়া হয়েছে
ই-কর্মাসের শীর্ষ প্রতারক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দোসর শেখ সোহেল রানাকে সুদুর আলিবেনিয়া থেকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে। দেশের নিরীহ মানুষের শত কোটি টাকা নিয়ে গ্রাহকদের রোষ এবং গ্রেফতার এড়াতে ২০২১ সালে ভারত হয়ে আলবেনিয়া পালিয়ে যায় সোহেল রানা। সেখানে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে আলবেনিয়ার কারাগারে আটক রয়েছে সোহেল রানা। প্রতারণা ও টাকা আত্মসাত টাকা পাচার সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার এড়াতে সোহেল রানা পালিয়েছিল। ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দফতর তথা সরকার তাকে আইনগত ভাবে দেশে ফেরত আনতে কাজ শুরু করেছে। ফেরতের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতর আলবেনিয়া সরকার তথা সেখানকার পুলিশের কাছে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে। তবে এখনো এর কোনো সদোত্তর পাওয়া যায়নি। খবর পুলিশ সদর দফতর সূত্রের।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকার বনানী থানার সাবেক পরিদর্শক ও আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক শেখ সোহেল রানা ৯ মাস ধরে আলবেনিয়ার কারাগারে আছেন। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আলবেনিয়ার পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবির কাছ থেকে এই তথ্য জানতে পেরেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন।
তিনি বলেন, সোহেল রানা বর্তমানে আলবেনিয়ার কারাগারে আছেন। তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে আলবেনিয়ার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের সেসব চিঠির কোনো জবাব দেয়নি।
সোহেল রানা আলবেনিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে দাবি করেছেন, তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বজন। রাজনৈতিক কারণে তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছেন। দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার মৃত্যুদন্ড হতে পারে।
ঢাকায় সোহেল রানার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে ৯টি মামলা রয়েছে। আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হলে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান। ভারত থেকে নেপালে যাওয়ার চেষ্টাকালে পরদিন তিনি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে গ্রেপ্তার হন।
সেই সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় সোহেল রানার দুই বছরের কারাদ- ও ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়। তখন তিনি পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে ছিলেন। ‘শারীরিক অসুস্থতা’ দেখিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে লাপাত্তা হন। সোহেল রানা ভারত থেকে পালিয়ে পর্তুগাল হয়ে আলবেনিয়ায় গিয়ে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেই কারাগারে আটক রয়েছেন।
 
																			


















