ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগামী ২৮শে মার্চ বেইজিংয়ে শির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস Logo শ্রীপুরে আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন Logo তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ডামুড্যায় জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির অধীনে রাখতে মানববন্ধন Logo সব সাংবাদিক আমার কাছে সমান, কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না : চকরিয়ার নবাগত ওসি Logo ময়মনসিংহে মিশুক চালকের মরদেহ উদ্ধার Logo নাটোরে আদিবাসীদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo না ফেরার দেশে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু Logo ত্রিশালে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন  অবস্থান কর্মসূচি   Logo এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে মানববন্ধন

এক বছরে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: আইওএম’র রিপোর্ট

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে

বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আইওএম’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে এক বছরে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

যা কিনা এশিয়ার মধ্যে দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২৪ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকার বনানীতে আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ বৈশ্বিক রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন করেন। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার পর এশিয়ার বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির মূল কারণ ছিল দুর্যোগ। ব্যাপক ও ভয়াবহ বন্যার অভিজ্ঞতা অর্জনকারী পাকিস্তানে ২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতি (৮০ লাখেরও বেশি) রেকর্ড করা হয়েছে।

এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতি ফিলিপাইনে প্রায় ৫৫ লাখ বা ৫.৫ মিলিয়ন। তারপরের অবস্থান চীনের যেখানে ৩৬ লাখ বা ৩.৬ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে রেকর্ড বন্যার কারণে বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২২ সালেও ভারত ও বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে। সেই বছর এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি হয়েছে মিয়ানমারে। সামরিক ও অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তীব্র সংঘাতে ১০ লাখের বেশি মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিধ্বংসী বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়, এর মধ্যে কয়েকটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটেছে। দক্ষিণ এশিয়া জলবায়ু অভিঘাতের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাপপ্রবাহ এবং বন্যার মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনার মুখোমুখি হয়।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দীর্ঘ বর্ষা ঋতু, উষ্ণ আবহাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান খরা সবই এই অঞ্চলে নতুন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাস্তবতা। যে কারণে বাংলাদেশেও এত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে মিয়ানমার থেকে আসা বাস্তুচ্যুতদের কারণে।

ড. হাছান বলেন, তারপরও সহানুভূতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাস্তুচ্যুত বিষয়ক নতুন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এক বছরে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: আইওএম’র রিপোর্ট

আপডেট সময় : ০৯:৫২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

 

আইওএম’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে এক বছরে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

যা কিনা এশিয়ার মধ্যে দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২৪ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকার বনানীতে আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ বৈশ্বিক রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন করেন। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার পর এশিয়ার বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির মূল কারণ ছিল দুর্যোগ। ব্যাপক ও ভয়াবহ বন্যার অভিজ্ঞতা অর্জনকারী পাকিস্তানে ২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতি (৮০ লাখেরও বেশি) রেকর্ড করা হয়েছে।

এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতি ফিলিপাইনে প্রায় ৫৫ লাখ বা ৫.৫ মিলিয়ন। তারপরের অবস্থান চীনের যেখানে ৩৬ লাখ বা ৩.৬ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে রেকর্ড বন্যার কারণে বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২২ সালেও ভারত ও বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে। সেই বছর এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি হয়েছে মিয়ানমারে। সামরিক ও অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তীব্র সংঘাতে ১০ লাখের বেশি মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিধ্বংসী বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়, এর মধ্যে কয়েকটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটেছে। দক্ষিণ এশিয়া জলবায়ু অভিঘাতের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাপপ্রবাহ এবং বন্যার মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনার মুখোমুখি হয়।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দীর্ঘ বর্ষা ঋতু, উষ্ণ আবহাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান খরা সবই এই অঞ্চলে নতুন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাস্তবতা। যে কারণে বাংলাদেশেও এত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে মিয়ানমার থেকে আসা বাস্তুচ্যুতদের কারণে।

ড. হাছান বলেন, তারপরও সহানুভূতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাস্তুচ্যুত বিষয়ক নতুন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।