ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগামী ২৮শে মার্চ বেইজিংয়ে শির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস Logo শ্রীপুরে আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন Logo তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ডামুড্যায় জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির অধীনে রাখতে মানববন্ধন Logo সব সাংবাদিক আমার কাছে সমান, কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না : চকরিয়ার নবাগত ওসি Logo ময়মনসিংহে মিশুক চালকের মরদেহ উদ্ধার Logo নাটোরে আদিবাসীদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo না ফেরার দেশে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু Logo ত্রিশালে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন  অবস্থান কর্মসূচি   Logo এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে মানববন্ধন

পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪ ২০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়েই অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২৬ আগস্ট) বঙ্গভবনে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অসহায় এসব লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ের পাশাপাশি জীবন ধারনের জন্য খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ বহুমুখী সহায়তা প্রয়োজন। সরকার বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাও তাদের সাধ্যমতো সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সব হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সবাই দেশকে এগিয়ে আসতে একযোগে কাজ কারার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সব ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।

এসময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দাস, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় গুরু রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস কুমার পাল অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

 

পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়েই অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২৬ আগস্ট) বঙ্গভবনে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অসহায় এসব লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ের পাশাপাশি জীবন ধারনের জন্য খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ বহুমুখী সহায়তা প্রয়োজন। সরকার বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাও তাদের সাধ্যমতো সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সব হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সবাই দেশকে এগিয়ে আসতে একযোগে কাজ কারার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সব ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।

এসময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দাস, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় গুরু রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস কুমার পাল অনুষ্ঠানে অংশ নেন।