ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

খাল বিল ও জলাধার সুরক্ষায় ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ণের দাবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিশ্ব পানি দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কমৃসূচীতে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার , জলাধার রক্ষা আন্দোলন’র সভাপতি ইবনুল সাঈদ রানা, অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি সমাজকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ।

খাল বিল ও জলাধার সুরক্ষায় ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ণের দাবি জানায় বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ ও বাংলাদেশ মুঠোফোনে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে পালিত হওয়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। আজকের প্রতিপাদ্য শান্তির জন্য পানি যথার্থ হয়েছে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের পানি সংকটের মত বাংলাদেশেও পানির আগামী সংকট এখনই লক্ষ্মীভূত হচ্ছে।

দেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি পরিবারকে পানি সংগ্রহের জন্য প্রায় দুই ঘন্টা হেটে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে, ঢাকায় চারপাশের সমস্ত নদী আজ দূষিত।

ঢাকা ওয়াসা যে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে সেই পানি অত্যন্ত দূষিত ফলে এই পানি দূষণমুক্ত করতে ওয়াসার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।

পদ্মার পানি এখনো পুরোপুরি দূষিত না হলেও সেই পদ্মার পানি ও খুব দ্রুতই দূষিত হয়ে পড়বে। ফলে আমাদের

ঢাকার দৈনিক সুপেয় পানির চাহিদা প্রায় ২২৬ কোটি লিটার। যার ফলে পানির সংকট দিন দিন বাড়ছে। ২০৩০ সালে বিশ্বের পানির চাহিদা দাঁড়াবে বর্তমানের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ পানি কোথা থেকে আসবে, কিভাবে এই পানির চাহিদা পূরণ হবে, তার সঠিক পরিকল্পনা এখনো নেয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সকলের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ৭৪ শতাংশ পানি সংগ্রহ করেন নারীরা। ৬৩ শতাংশ মানুষকে সুপেয় পানি পেতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

দেশের এখনো ৭৫% মানুষ টিউয়েলের উপর নির্ভরশীল। অনেক এলাকায় আর্সেনিক যুক্ত পানি এবং অনেক জায়গায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বর্তমান দেশের ৪১ টি জেলা আর্সেনিকের প্রভাব রয়েছে। বলা হচ্ছে দেশের মাত্র ৩৪ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পায়। দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুপেয় পানি বড় সংকট তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের জলাভূমি দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ঢাকার জলাভূমি সব দখল হয়ে গেছে। একারণে রাজধানীর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে।

ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করে নদী ও জলাশয়ের প্রকৃতিগত ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় করে তা রক্ষা করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা সরকারিভাবে ঘোষনা করতে হবে। নদী দখল এবং নদীর বালু উত্তালন বন্ধে সরকারকে কঠোর হস্তক্ষেপ করতে হবে। ব্রহ্মপুত্র নদীর খনন করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র ওঠে এসেছে, তার সঠিক তদন্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের চেয়ারম্যান মো. জলিল, গ্রীন পার্টি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ আজিজুল, আবুল কালাম আজাদ, ডাক্তার আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবুল, শেখ ফরিদ, মো নকিব খান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খাল বিল ও জলাধার সুরক্ষায় ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ণের দাবি

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

 

বিশ্ব পানি দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কমৃসূচীতে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান মোহাম্মদ ইফতেখার , জলাধার রক্ষা আন্দোলন’র সভাপতি ইবনুল সাঈদ রানা, অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি সমাজকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ।

খাল বিল ও জলাধার সুরক্ষায় ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ণের দাবি জানায় বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ ও বাংলাদেশ মুঠোফোনে গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে পালিত হওয়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। আজকের প্রতিপাদ্য শান্তির জন্য পানি যথার্থ হয়েছে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের পানি সংকটের মত বাংলাদেশেও পানির আগামী সংকট এখনই লক্ষ্মীভূত হচ্ছে।

দেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি পরিবারকে পানি সংগ্রহের জন্য প্রায় দুই ঘন্টা হেটে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে, ঢাকায় চারপাশের সমস্ত নদী আজ দূষিত।

ঢাকা ওয়াসা যে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে সেই পানি অত্যন্ত দূষিত ফলে এই পানি দূষণমুক্ত করতে ওয়াসার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।

পদ্মার পানি এখনো পুরোপুরি দূষিত না হলেও সেই পদ্মার পানি ও খুব দ্রুতই দূষিত হয়ে পড়বে। ফলে আমাদের

ঢাকার দৈনিক সুপেয় পানির চাহিদা প্রায় ২২৬ কোটি লিটার। যার ফলে পানির সংকট দিন দিন বাড়ছে। ২০৩০ সালে বিশ্বের পানির চাহিদা দাঁড়াবে বর্তমানের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ পানি কোথা থেকে আসবে, কিভাবে এই পানির চাহিদা পূরণ হবে, তার সঠিক পরিকল্পনা এখনো নেয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সকলের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ৭৪ শতাংশ পানি সংগ্রহ করেন নারীরা। ৬৩ শতাংশ মানুষকে সুপেয় পানি পেতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

দেশের এখনো ৭৫% মানুষ টিউয়েলের উপর নির্ভরশীল। অনেক এলাকায় আর্সেনিক যুক্ত পানি এবং অনেক জায়গায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বর্তমান দেশের ৪১ টি জেলা আর্সেনিকের প্রভাব রয়েছে। বলা হচ্ছে দেশের মাত্র ৩৪ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পায়। দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুপেয় পানি বড় সংকট তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের জলাভূমি দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ঢাকার জলাভূমি সব দখল হয়ে গেছে। একারণে রাজধানীর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে।

ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করে নদী ও জলাশয়ের প্রকৃতিগত ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় করে তা রক্ষা করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা সরকারিভাবে ঘোষনা করতে হবে। নদী দখল এবং নদীর বালু উত্তালন বন্ধে সরকারকে কঠোর হস্তক্ষেপ করতে হবে। ব্রহ্মপুত্র নদীর খনন করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র ওঠে এসেছে, তার সঠিক তদন্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের চেয়ারম্যান মো. জলিল, গ্রীন পার্টি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ আজিজুল, আবুল কালাম আজাদ, ডাক্তার আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবুল, শেখ ফরিদ, মো নকিব খান প্রমুখ।