ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

ডিমের দাম বাড়ার কারণ কারসাজি: উপদেষ্টা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাজারে কারসাজিতে ডিমের দাম বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ডিমকে শিগগিরই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলেও এসময় জানান তিনি।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ডিম দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, ব্যবসায়ীরা দাবি করছিলেন ডিমের সংকট আছে। আমদানির খবরে ডিমের দাম কিছুটা কমে গেল। তাহলে বোঝা যায় ডিমের দাম বৃদ্ধি সেটা কারসাজি। ডিমের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটই বড় কারণ। কোনো ধরনের কারসাজি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।  তবে ডিমের দাম কমাতে উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো ও ফিডের দামের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে।

এ সময় মিডিয়ার কারণেও ডিমের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় এমনভাবে লেখা হয় তাতে বাজার অস্থির হয়ে যায়। আমরা ভোক্তারাও অস্থির হয়ে পড়ি। এসব বিষয় মাথায় নিয়েই কাজ করছে সরকার। বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে পাইকারিতে কিছুটা দাম কমছে। দ্রুতই দাম নাগালে আসবে। ’

তিনি বলেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব শ্রেণি-বর্ণ-নির্বিশেষে, যাদের ডিম বেশি দরকার তাদের জন্য তা সরবরাহ করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও ওয়াপসার সভাপতি মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিমের দাম বাড়ার কারণ কারসাজি: উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

 

বাজারে কারসাজিতে ডিমের দাম বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ডিমকে শিগগিরই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলেও এসময় জানান তিনি।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ডিম দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, ব্যবসায়ীরা দাবি করছিলেন ডিমের সংকট আছে। আমদানির খবরে ডিমের দাম কিছুটা কমে গেল। তাহলে বোঝা যায় ডিমের দাম বৃদ্ধি সেটা কারসাজি। ডিমের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটই বড় কারণ। কোনো ধরনের কারসাজি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।  তবে ডিমের দাম কমাতে উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো ও ফিডের দামের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে।

এ সময় মিডিয়ার কারণেও ডিমের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় এমনভাবে লেখা হয় তাতে বাজার অস্থির হয়ে যায়। আমরা ভোক্তারাও অস্থির হয়ে পড়ি। এসব বিষয় মাথায় নিয়েই কাজ করছে সরকার। বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে পাইকারিতে কিছুটা দাম কমছে। দ্রুতই দাম নাগালে আসবে। ’

তিনি বলেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব শ্রেণি-বর্ণ-নির্বিশেষে, যাদের ডিম বেশি দরকার তাদের জন্য তা সরবরাহ করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও ওয়াপসার সভাপতি মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।