ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে আর কত অবন্তিকাকে আত্মহননের পথ বেঁচে নিতে হবে?
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
দৃশ্য ১. কুমিল্লা নগরীর ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের অরণী ভবনে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে। খবর পেয়ে স্বজন ও বন্ধুরা কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মরহুম জামাল উি নের এর মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরোজ অবন্তিকা ফেইসবুকে স্টেটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
দৃশ্য ২. অবন্তিকার মা অভিযোগ করে বলেন, বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর সবার সঙ্গে যোগায়োগ করেছি, বিষয়টির সুরাহার জন্য। আমার মেয়ে যাতে ভালোভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পারে, সেটি আর হলো না। ওদের জন্য আমি মেয়ে হারিয়েছি, আমি তাদের বিচার চাই।
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে কথাগুলোউচ্চারণরণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরোজ অবন্তিকার মা বলেন, আমার মেয়ের কি অপরাধ ছিল? সে ভালো ছাত্রী ছিল এটাই কি তার অপরাধ?
অবন্তিকা ফেসবুকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী কারা তাদের নাম লিখে আত্মহননের পথে নেন। সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন অবন্তিকা।
তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর পথ বেচে নেন। অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম জানান, শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীসহ এ ঘটনায় জড়িত প্রক্টরিয়াল কমিটি এবং ছাত্র উপদেষ্টাকে তদন্তের আওতায় আনা হবে। আমার হাতে আইনগতভাবে যতটুকু ক্ষমতা রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং আম্নান সিদ্দিকীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেতন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।