ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাইকগাছায় বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান  Logo ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ Logo অন্তর্বর্তী সকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী ভারত Logo আমলারা বহুরূপী হয়ে সামনে আসেন বলেন: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Logo ইইউ’র ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের অনুরোধ Logo ডিআরইউর সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও ইসি সদস্যকে ক্র্যাবের সংবর্ধনা Logo রাজনৈতিক পরিচয়ে ১৫ বছরে ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ: ডিএমপি কমিশনার Logo বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারত দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না: গয়েশ্বর Logo শেরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত Logo ভান্ডারিয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস পালিত

যুক্তরাষ্ট্রের ২০ কোটি ডলার সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। উভয় দেশ এক সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ সময় বাংলাদেশের পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে মার্কিন সহায়তা চেয়েছেন তিনি। ঢাকা সফররত মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোববার বৈঠককালে ড. ইউনূস এই সহায়তা চান। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি শনিবার বাংলাদেশে পৌছায়। রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হাসানের সঙ্গেও বৈঠক করে মার্কিন প্রতিনিধিরা।

স্বাস্থ্য, সুশাসন, মানবিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি ও মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার হলো বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহযোগিতা করা। এই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) চুক্তি সই হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সাহাবউদ্দিন এবং ইউএসএআইডির পক্ষ থেকে সই করেন রিড জে অ্যাসচলিম্যান। অনুষ্ঠানে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মূলত রাজস্ব ও আর্থিক খাত নিয়ে কথা হয়েছে। আর্থিক খাতের সংস্কার ও সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্য নিয়েও কথা হয়েছে; রপ্তানি বহুমুখীকরণসহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাজার অনুসন্ধানও আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করলে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্র্যান্ট অ্যাগ্রিমেন্ট (ডিওএজি) বা উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুদান চুক্তির ষষ্ঠ সংশোধনী হিসেবে আজ এই চুক্তি সই হয়েছে। এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত। চুক্তির আলোকে বাংলাদেশকে মোট ৯৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা। এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি সংশোধনীর আলোকে বাংলাদেশকে ৪২৫ মিলিয়ন বা ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে।

এবার ষষ্ঠ সংশোধনীর আলোকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউএসএআইডি ও ইউএসডিএর মাধ্যমে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত ও সম্পর্কিত সহায়তা শীর্ষক একটি চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, সুশাসন, খাদ্যনিরাপত্তার মতো বিভিন্ন খাতে আজ পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ সরকার ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে।

ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট অ্যাগ্রিমেন্ট (ডিওএজি)-এর ষষ্ঠ সংশোধনী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ কে এম শাহাবুদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং রিড জে এশলিম্যান, মিশন পরিচালক, ইউএসএআইডি সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেন।

২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২০২৬ সালের জন্য জিওবি ও ইউএসএআইডির মধ্যে একটি নতুন ডিওএজি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ডিওএজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসআআইডি মোট ৯৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এখন পর্যন্ত পঞ্চম সংশোধনী পর্যন্ত ইউএসআআইডি ৪২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এ ষষ্ঠ সংশোধনীর অধীনে ইউএসআআইডি ২০২.২৫ মিলিয়ন অনুদান দেবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত ও সম্পর্কিত সহায়তা শীর্ষক একটি চুক্তির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে আজ পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রের ২০ কোটি ডলার সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০১:২৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। উভয় দেশ এক সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ সময় বাংলাদেশের পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে মার্কিন সহায়তা চেয়েছেন তিনি। ঢাকা সফররত মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোববার বৈঠককালে ড. ইউনূস এই সহায়তা চান। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি শনিবার বাংলাদেশে পৌছায়। রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হাসানের সঙ্গেও বৈঠক করে মার্কিন প্রতিনিধিরা।

স্বাস্থ্য, সুশাসন, মানবিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি ও মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার হলো বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহযোগিতা করা। এই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) চুক্তি সই হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সাহাবউদ্দিন এবং ইউএসএআইডির পক্ষ থেকে সই করেন রিড জে অ্যাসচলিম্যান। অনুষ্ঠানে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মূলত রাজস্ব ও আর্থিক খাত নিয়ে কথা হয়েছে। আর্থিক খাতের সংস্কার ও সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্য নিয়েও কথা হয়েছে; রপ্তানি বহুমুখীকরণসহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাজার অনুসন্ধানও আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করলে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্র্যান্ট অ্যাগ্রিমেন্ট (ডিওএজি) বা উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুদান চুক্তির ষষ্ঠ সংশোধনী হিসেবে আজ এই চুক্তি সই হয়েছে। এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত। চুক্তির আলোকে বাংলাদেশকে মোট ৯৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা। এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি সংশোধনীর আলোকে বাংলাদেশকে ৪২৫ মিলিয়ন বা ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে।

এবার ষষ্ঠ সংশোধনীর আলোকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউএসএআইডি ও ইউএসডিএর মাধ্যমে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত ও সম্পর্কিত সহায়তা শীর্ষক একটি চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, সুশাসন, খাদ্যনিরাপত্তার মতো বিভিন্ন খাতে আজ পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ সরকার ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে।

ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট অ্যাগ্রিমেন্ট (ডিওএজি)-এর ষষ্ঠ সংশোধনী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ কে এম শাহাবুদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং রিড জে এশলিম্যান, মিশন পরিচালক, ইউএসএআইডি সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেন।

২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২০২৬ সালের জন্য জিওবি ও ইউএসএআইডির মধ্যে একটি নতুন ডিওএজি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ডিওএজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসআআইডি মোট ৯৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এখন পর্যন্ত পঞ্চম সংশোধনী পর্যন্ত ইউএসআআইডি ৪২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এ ষষ্ঠ সংশোধনীর অধীনে ইউএসআআইডি ২০২.২৫ মিলিয়ন অনুদান দেবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত ও সম্পর্কিত সহায়তা শীর্ষক একটি চুক্তির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে আজ পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।