অস্থির কৃষি ব্যাংক

- আপডেট সময় : ২১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডির নানামুখী কর্মকান্ডে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ব্যাংকের পরিবেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদীমনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ জিয়া পরিষদের মুখোমুখি হলে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে এমডি ও ডিএমডির “দেখি না কী হয়” ভূমিকায় গোটা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে। এমন অবস্থার মধ্যে জিয়া পরিষদের সভাপতি সোহরাব জাকিরের নেতৃত্বে এমডি ও ডিএমডিকে ঘেরাও করলে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট বিকালে কয়েকজনের বদলীর অর্ডার বাতিলের দাবিতে ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডিকে ঘেরাও করে সোহরাব জাকিরের নেতৃত্বে জিয়া পরিষদ।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদীমনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ জিয়া পরিষদের মুখোমুখি হলে তাদের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়। ২২ জুন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন এর স্বারিত আদেশে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কৃষি ব্যাংক জিয়া পরিষদ কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর আগে ৩১ মে তারিখে কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ৬১ সদস্য বিশিষ্ট বাতিলকৃত কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ অধিকাংশই ছিল পতিত সরকারের ঘনিষ্ঠ জন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রমের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল তারা। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে টঙ্গী পাড়ায় ফুলের ডালা দেয়া, আওয়ামী ঘরানার এমপি মন্ত্রীদের সাথে সেলফি তোলা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখেই বুঝা যায় তারা ফ্যাসিস্ট দের সমর্থিত লোক, সুবিধাবাদীও বটে। ৫ আগষ্টের পর খোলস বদলে সেজেছে জাতীয়তাবাদী। কৃষি ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য মতে আসলে তারা চাকরির শুরু থেকেই পতিত সরকারের সুবিধা ভোগী মূলত তরা আওয়ামীলীগার।
কারো সাথে কোনো আলাপ আলোচনা ছাড়াই বাতিলকৃত জিয়া পরিষদকে ২৫ আগস্ট তারিখে পুনরায় কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে ২২ জুন তারিখের বাতিল আদেশ রহিতকরণ করা হয়। ব্যাংকের অনেকেই মনে করেন উৎকোচের বিনিময়ে আবারো অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নবগঠিত জিয়া পরিষদ একদিনের মধ্যেই ব্যাংকের প্রশাসনিক কার্যক্রমে বাঁধা সৃষ্টি করে ব্যাংকের সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত করেছে।
ব্যাংকের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার স্বার্থে সিবিএ সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন এর নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দ কর্তৃপক্ষের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা নিরাপত্তার সাথে এমডি ও ডিএমডিকে সন্ধ্যায় গাড়ি করে বাসায় ফেরার ব্যবস্থা করে। গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রেখে ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তারা সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন অনেকেই, এটা সংবিধানের চরম লংঘন। এই ঘটনায় ব্যাংকে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।