ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খাতের সফল খামারি উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান Logo কাজী মামুনুর রশীদ কচি সদস্য হওয়াতে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা Logo মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা Logo ইসলামপুর ইউনিয়নে ঈদের চাল নিয়ে পরিষদ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ Logo মর্গ্যান স্কুলের দুর্নীতির তদন্তে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধর, ৬ শিক্ষকের নামে মামলা Logo মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের জেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত  Logo মাদক, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ প্রতিরোধের অঙ্গীকার করলেন  ছাত্রদল নেতা সোহেল   Logo ঝিনাইদহে অনলাইন জুয়া সাইটের বাংলাদেশী এজেন্ট গ্রেফতার Logo ভোলায় অস্ত্র গুলিসহ সিরাজ বাহিনীর দুই সদস্য আটক Logo ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড মোতায়েন 

মিয়ানমারের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩১৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মিয়ানমারের আর কোন নাগরিককে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার বিজিপি সদস্যদের দু’এক দিনের মধ্যে জাহাজযোগে মিয়ানমার ফিরিয়ে নেবে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনোরকম যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসে। এখন রোহিঙ্গা বা যেই হোক কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে হাইওয়ে পুলিশের সেবা সপ্তাহ-২০২৪ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপার থেকে আসা গোলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। মর্টার শেল এসে পড়েছে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশির ঘরে, গুলি এসে লেগেছে অটোরিকশায়। বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ তিনশর বেশি মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আত্মরক্ষার্থে এসেছে, তাদের ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সবাই অতন্দ্রপ্রহরীর মত কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরেও যদি কেউ আসে তাদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়ছে এপারে। ফলে বাংলাদেশিরা রয়েছেন আতঙ্কে।

এর আগে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। সেই জাতিগত নিধনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজপির সদস্যরা জড়িত ছিল কিনা, তা জানতে চাওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমারের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:০০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মিয়ানমারের আর কোন নাগরিককে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার বিজিপি সদস্যদের দু’এক দিনের মধ্যে জাহাজযোগে মিয়ানমার ফিরিয়ে নেবে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনোরকম যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসে। এখন রোহিঙ্গা বা যেই হোক কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে হাইওয়ে পুলিশের সেবা সপ্তাহ-২০২৪ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপার থেকে আসা গোলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। মর্টার শেল এসে পড়েছে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশির ঘরে, গুলি এসে লেগেছে অটোরিকশায়। বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ তিনশর বেশি মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আত্মরক্ষার্থে এসেছে, তাদের ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সবাই অতন্দ্রপ্রহরীর মত কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরেও যদি কেউ আসে তাদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়ছে এপারে। ফলে বাংলাদেশিরা রয়েছেন আতঙ্কে।

এর আগে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। সেই জাতিগত নিধনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজপির সদস্যরা জড়িত ছিল কিনা, তা জানতে চাওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে।