ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যশোরে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের কার্নিশ ভেঙে প্রকৌশলীসহ নিহত ৩ Logo শেরপুরে র‌্যাবের অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, মূল হোতা গ্রেপ্তার Logo গোমস্তাপুরে কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কুড়িগ্রামের উলিপুরে কৃষকদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo চিলমারী ভাসমান তেল ডিপো রক্ষায় কুড়িগ্রামে শ্রমিকদের মানববন্ধন Logo পলাশবাড়ীর বেতকাপা ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন বিতরণ, তদন্তে প্রশাসন Logo রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া বিধবাকে গণধর্ষণ Logo রামগতি পৌরসভার বাজেট ঘোষণা Logo উল্লাপাড়া পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদার দাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

ভারত হয়ে নেপাল-ভুটানে যাবে বাংলাদেশি পণ্য ও যাত্রী ট্রেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ৬১৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল। কিন্তু ভারতের ভূ-খন্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে না পারায় সেটি খুব একটা কার্যকর হয়নি। এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কারণে নতুন করে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পূর্বে হওয়া কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।

বাংলাদেশ-ভারত রেল ট্রানজিট চুক্তির মধ্যে দিয়ে ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তাতে করে বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে ভারত নিজেদের ভূখন্ডে যেতে পারবে। আর বাংলাদেশিরাও ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার করে নেপাল-ভুটানে যেতে পারবে।

প্রস্তাবিত চুক্তিতে ১২টি রুটের কথা বলা হয়েছে, যেসব রুট ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সেভেন সিস্টার্স খ্যাত সাত রাজ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এক্ষেত্রে ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার করে নেপাল-ভুটানে যেতে পারা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

বুধবার (২৬ জুন) রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবির ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। সংবাদমাধ্যমকে তারা জানিয়েছেন, নতুন সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্যে উন্মুক্ত হচ্ছে ভারতীয় রেলপথ দিয়ে নেপাল-ভুটান প্রবেশের দ্বার।

ভারত-বাংলাদেশ রেল করিডোর নিয়ে নতুন চুক্তি

চলতি মাসের ২২ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩টি ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার এক নম্বর রয়েছে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ এবং ভারতীয় রেল করিডোর নিয়ে নয়া চুক্তি।

এদিকে দীর্ঘ ৭৭ বছর পর রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে পুনরায় ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। যেটি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন সার্ভিস।

ফাইল ছবি

চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে কলকাতা উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সাত রাজ্যের ১২টি রুটে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের সুবিধা। এ বিষয়ে ভারতীয় রেলওয়ের বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত নিউজ করেছে ভারতীয় পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পরিকল্পনার আওতায় মোট ১ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের ১৪টি সেকশন থাকবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ভেতরে থাকবে ৮৬১ কিলোমিটার। আর নেপালে ২০২ কিলোমিটার ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থাকবে ২১২ কিলোমিটার পথ।

পত্রিকাটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার দেশের ভেতরে ভারতকে রেলপথ স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নয়াদিল্লির পরিকল্পনা সহজ হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে মোট ৮৬১ কিলোমিটার, নেপালে ২০২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এবং উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জরিপ চালানো হবে।

ভারতের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালেও পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

প্রস্তাব অনুসারে, ভারত ও নেপালের মধ্যে রেল সংযোগের জন্য অনুমোদিত রুট বিরাটনগর-নিউ মাল জং সেকশনে ১৯০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে। আর গালগালিয়া-ভদ্রপুর-কাজলী বাজার সেকশনে সাড়ে ১২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারত হয়ে নেপাল-ভুটানে যাবে বাংলাদেশি পণ্য ও যাত্রী ট্রেন

আপডেট সময় : ০৫:০০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

 

নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল। কিন্তু ভারতের ভূ-খন্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে না পারায় সেটি খুব একটা কার্যকর হয়নি। এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কারণে নতুন করে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পূর্বে হওয়া কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে।

বাংলাদেশ-ভারত রেল ট্রানজিট চুক্তির মধ্যে দিয়ে ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তাতে করে বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করে ভারত নিজেদের ভূখন্ডে যেতে পারবে। আর বাংলাদেশিরাও ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার করে নেপাল-ভুটানে যেতে পারবে।

প্রস্তাবিত চুক্তিতে ১২টি রুটের কথা বলা হয়েছে, যেসব রুট ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সেভেন সিস্টার্স খ্যাত সাত রাজ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এক্ষেত্রে ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার করে নেপাল-ভুটানে যেতে পারা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

বুধবার (২৬ জুন) রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবির ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। সংবাদমাধ্যমকে তারা জানিয়েছেন, নতুন সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্যে উন্মুক্ত হচ্ছে ভারতীয় রেলপথ দিয়ে নেপাল-ভুটান প্রবেশের দ্বার।

ভারত-বাংলাদেশ রেল করিডোর নিয়ে নতুন চুক্তি

চলতি মাসের ২২ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩টি ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার এক নম্বর রয়েছে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ এবং ভারতীয় রেল করিডোর নিয়ে নয়া চুক্তি।

এদিকে দীর্ঘ ৭৭ বছর পর রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে পুনরায় ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। যেটি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী চতুর্থ আন্তঃদেশীয় ট্রেন সার্ভিস।

ফাইল ছবি

চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে কলকাতা উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সাত রাজ্যের ১২টি রুটে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের সুবিধা। এ বিষয়ে ভারতীয় রেলওয়ের বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত নিউজ করেছে ভারতীয় পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পরিকল্পনার আওতায় মোট ১ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের ১৪টি সেকশন থাকবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ভেতরে থাকবে ৮৬১ কিলোমিটার। আর নেপালে ২০২ কিলোমিটার ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থাকবে ২১২ কিলোমিটার পথ।

পত্রিকাটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার দেশের ভেতরে ভারতকে রেলপথ স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নয়াদিল্লির পরিকল্পনা সহজ হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে মোট ৮৬১ কিলোমিটার, নেপালে ২০২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এবং উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জরিপ চালানো হবে।

ভারতের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেপালেও পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

প্রস্তাব অনুসারে, ভারত ও নেপালের মধ্যে রেল সংযোগের জন্য অনুমোদিত রুট বিরাটনগর-নিউ মাল জং সেকশনে ১৯০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে। আর গালগালিয়া-ভদ্রপুর-কাজলী বাজার সেকশনে সাড়ে ১২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে।