বাউফলে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ইলিশ নিধন
- আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
বাউফলে নিষেধাজ্ঞা না মেনে জেলেরা ইলিশ ধরছে, প্রয়োজনের তুলনায় অভিযানের জন্য ট্রলার কম থাকার কারনে অসাধু জেলেদের দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নদীর অভয়াশ্রমে ডিম ছাড়ার কারনে জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষার স্বার্থে নদী ও সাগরে সকল ধরনের মাছ শিকারে সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে৷ এসময় ইলিশ আহরন, পরিবহন,মজুতকরন, বাজারজাতকরন, ক্রয়- বিক্রয় এবং বিনিময়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
তবে বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর চল্লিশ কিলোমিটার এলাকার চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। দিনের আলোয় প্রকাশ্যেই অবাধে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ শিকার করছে অসাধু জেলেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে ইলিশ ধরার ফলে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। যার ফলে সারা বছর বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
১৩ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা জারির দিন থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীতে সরেজমিন দেখা যায়, নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধশত নৌকা নিয়ে অসাধু জেলেরা অবাধে মা ইলিশ শিকার করছে।
মৎস বিভাগের অভিযানের তথ্যানুযায়ী- গত ১৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিনে এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক কুমার কুন্ডু তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন এবং উপজেলা মৎস অফিসের ১৮টি অভিযানে সহযোগিতার মাধ্যমে ১৯টি মামলা এবং ১৯ জন জেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এসময় ০.৯২ ম্যাট্রিক টন ইলিশ, ৩ হাজার ৪’শ ৬৫ মিটার জাল ও চারটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে৷
নদীর অভয়ারণ্য মা ইলিশের জন্য সুরক্ষিত রাখতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার। তিনি বলেন, ‘চেষ্টা তো করি কিন্তু আশানুরুপ ফল পাচ্ছিনা! দেখি কি করা যায়! তিনি আরো বলেন, ‘ প্রয়োজনের তুলনায় অভিযানের জন্য ট্রলার কম থাকার কারনে অসাধু জেলেদের দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, ‘অভিযান সফল করা লক্ষ্যে একজন ট্যাগ অফিসার ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।